নিজস্ব প্রতিনিধি : আরসালান নয়, গাড়ি চালাচ্ছিল দাদা রাঘব! শহরের অন্তত ৪০- ৪৫টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই তথ্য সামনে এনেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ৷ কার গাফিলতির শিকার আরসালান? জাগুয়ার দুর্ঘটনা কাণ্ডে জাগুয়ার কাণ্ডে নয়া মোড়৷
বুধবার, লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক জয়েন্ট সিপি মুরলিধর শর্মা জানান, ১৬ অগস্ট মাঝ রাতে মিন্টো পার্কের কাছে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন হল, আরসালানের দাদা রাঘেব পারভেজ আর আখতার পারভেজের ছেলে। তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন আরসালান নন, এই ঘটনায় দায়ী রাঘব৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পরেরদিন এক মামার সাহায্যে বিমানে চড়ে দুবাইতে চলে যায় রাঘব৷ সেখানেই গা ঢাকা দিয়েছিল সে৷ আরসালান পারভেজ ধরা পড়ার পর দেশে ফিরে আসেন রাগিব। তাঁকে বেনিয়াপুকুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। রাঘবকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন তাঁর মামা মহম্মদ হামজা। তাঁকেও পাকড়াও করেছে পুলিস।
বেপরোয়া গতির বলি ২ বাংলাদেশি, গ্রেফতার আরসালানের মালিকের ছেলে
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে দাদাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন আরসালান পারভেজ। কিন্তু পরে তিনি জানান, দুর্ঘটনার রাতে গাড়িতে ছিলেন না। তিনি ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন। এরমধ্যে পুলিশ রাঘবের ছবি সংগ্রহ করে ফেলেছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ও অভিযুক্তের হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। সংগ্রহ করা হয় রাগিবের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা যায়, রাত ১১.১০ নাগাদ গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল রাগিবের হাতে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে মার্সিডিজ বেঞ্জকে ধাক্কা মারে তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা একটি জাগুয়ার গাড়ি। বেলাগাম গতির জেরে মৃত্যু হয় দুই বাংলাদেশির। ঘটনার তদন্তে শহরের নামজাদা রেস্তরাঁর মালিকের ছেলে আরসালান পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধাকা (বেপরোয়া গাড়ি চালানো), ৪২৭ ধারা (সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি) ও অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।