নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। সুষমা স্বরাজের মৃত্যু তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষতি বলে মনে করিয়ে দেন স্মৃতি ইরানি৷ সুষমা প্রতিশ্রুতিপূরণ না করার স্মৃতি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ বিদায়বেলায় অভিমানের সুর তাঁর গলায়৷ টুইট করে সুষমার প্রতি অভিমান জানালেন স্মৃতি। বললেন, কথা না রেখেই চলে গেলেন তাঁর অত্যন্ত শ্রদ্ধার এই নেত্রী।
একই দলের কর্মী৷ বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা৷ সুষমার সঙ্গে কবে যে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন বুঝতে পারেননি স্মৃতি ইরানি৷ অভিজ্ঞ রাজনীতিককে ‘দিদি’ বলে ডাকতেন৷ প্রকৃত অর্থে যেন দিদি-বোনের সম্পর্কই হয়ে গিয়েছিলেন সুষমা৷ সুষমা স্বরাজ দিল্লির এইমস-এ ভর্তি শুনেই ছুটে গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তার কিছুক্ষণ পরেই সবাইকে ছেড়ে চলে যান সুষমা। তারপরেই টুইট করে শোক জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
I have an axe to grind with you Didi . You made Bansuri pick a restaurant to take me for a celebratory lunch. You left without fulfilling your promise to the two of us.
— Smriti Z Irani (@smritiirani) August 6, 2019
টুইটে যখন সকলেই শোকজ্ঞাপনে ব্যস্ত, তখন স্মৃতি ভাগ করলেন ‘দিদি’র সঙ্গে কাটানো ভাল সময়ের কথা৷ টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘আমার তোমার সঙ্গে বোঝাপড়া বাকি রইল৷ আপনি বলেছিলেন আমাকে ও বাঁশুরিকে ( সুষমার মেয়ে ) আপনার পছন্দের রেস্তোরাঁতে খাওয়াবেন। যেখানে আমাদের সবার যাবার কথা ছিল৷ কিন্তু আমাদের দেওয়া সেই কথা না রেখেই আপনি চলে গেলেন৷’’স্মৃতির এই টুইটের পরে অনেকেই তা রিটুইট করেন। অনেকে আবার কমেন্টে লেখেন, সত্যিই কতটা কষ্ট থেকে এই টুইট লেখা তা বোঝা যাচ্ছে। কেউ আবার বলেন, সবার আগে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। সুষমা স্বরাজকে নিজের দিদির মতোই মনে করতেন তিনি।
असंख्य महिला कार्यकर्ताओं की प्रेरणा दीदी का आकस्मिक निधन हम सबको स्तब्ध कर गया । आज उनके शोकाकुल परिवार के प्रति सहानुभूति व्यक्त करती हूँ ।एक कार्यकर्ता के नाते महिला उत्थान के प्रति अगर हम अपना जीवन समर्पित करे तो वो दीदी के प्रति सच्ची श्रधांजलि होगी । pic.twitter.com/J7aJTCQtpm
— Smriti Z Irani (@smritiirani) August 7, 2019
এই টুইটের আগে অবশ্য আরও একটি টুইট করেন স্মৃতি। সেখানে তিনি লেখেন, “সুষমাজির অকাল মৃত্যু দলের কোটি কোটি কর্মীদের মতো আমাকেও স্তম্ভিত করেছে। আমি পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। দলের কর্মী হিসেবে আমরা যদি মহিলাদের সম্মান রক্ষা ও তাঁদের জীবনযাত্রার মান আরও ভালো করতে পারি, তবেই সেটা সুষমাজিকে আমাদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।”
ইন্দিরা গান্ধীর পর দেশের দ্বিতীয় মহিলা বিদেশমন্ত্রী তিনি। কূটনৈতিক তরজার মতো ভারিক্কি বিষয় নিয়ে যে মন্ত্রক সব সময় ব্যস্ত থাকে, সুষমা থাকাকালীন আম জনতার মনে এই মন্ত্রকের গুরুত্ব বোঝাতে পেরেছিলেন। তাই তিনি একবার বলেছিলেন, মঙ্গলেও আপনি যদি আটকে থাকেন, সেখানেও ভারতীয় দূতাবাস সাহায্য করবে।