নিজস্ব প্রতিনিধি : ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ইস্তফাপত্ত পোস্টও করলেন ঠোঁটকাটা এই নেতা।
মাস খানেক আগেই রদবদল হয়েছিল পঞ্জাব মন্ত্রিসভায়। এই রদবদলে বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধুর হাত থেকে বেশ কিছু পদ নিয়ে নেওয়া হয়। সিধুকে দেওয়া হয় নতুন দফতর। কিন্তু নতুন দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেননি। গত ১০ জুনই তিনি পদত্যাগ করেন। সেটি পাঠিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর কাছে। রবিবার তিনি সেই ঘোষণা করলেন। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাব ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করলাম। প্রসঙ্গত, তাঁকে রাজ্যের পর্যটন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
My letter to the Congress President Shri. Rahul Gandhi Ji, submitted on 10 June 2019. pic.twitter.com/WS3yYwmnPl
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) July 14, 2019
শনিবার এ কথা জানান সিধু নিজেই। তিনি বলেন, “আমি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে আমার ইস্তফাপত্র দিয়ে এসেছি। আমি নিজের কাজ করে যাবো। কিন্তু মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না।” নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পদত্যাগপত্রের একটি ছবিও প্রকাশ করেন সিধু। পদত্যাগপত্রের তারিখ দেওয়া রয়েছে ১০ জুন। গত মাসে অবশ্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়ার সঙ্গে দেখাও করেন সিধু। তাঁদের সঙ্গে ছবি দিয়ে টুইটারে ৫৫ বছর বয়সী এই নেতা লেখেন, “কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে আমার চিঠি দিলাম ও পরিস্থিতির কথা বললাম।”
২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। কিন্তু অমরেন্দ্রর সঙ্গে প্রতি পদেই বিবাদ হয়েছে তাঁর। কখনও ক্যামেরার সামনে বা কখনও সরাসরি একে অন্যের বিরুদ্ধে বলেছেন তাঁরা। সম্প্রতি তিনি মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে যাননি বরং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাড়িতে বসেই। পাশাপাশি, রাজ্যের এক বিজেপি নেতা তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ করেন রাজ্যপালের কাছে। তাঁদের এই ইগোর লড়াই এখন চরমে পৌঁছেছে। আর তাই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন সিধু। এখন দেখার কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব এই বিষয়কে কীভাবে সামাল দেয়।