নিজস্ব প্রতিনিধি : বিজেপি ও তৃণমূল জনসভায় যাওয়ার সময় শ্লোগান, পাল্টা শ্লোগানে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ঝাড়্গ্রাম জেলার জামবনী থানার বাঁকবেড় ও বড়শোল এলাকায়। সোমবার একই দিনে ঝাড়্গ্রাম জেলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেই সভাতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।মারামারি,দোকানে ভাঙচুর,লুটপাট,বাইকে আগুন,গাড়িতে ভাঙচুর কোন কিছুই বাদ গেলনা। যদিও এই ঘটনায় এখনো কেই গ্রেফতার হয় নি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এই ঘটনায় বিজেপির দু জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বিজেপির লোকজন এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করেছিল এবং লুটপাট চালিয়ে,বাইকে আগুন ধরিয়েছে।এদিন স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে জামবনি ব্লকে বাঁকবেড়ে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। উল্লেখ্য এদিন গোপীবল্লভপুর এক ব্লকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা ছিল।আর অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম শহরে ছিল প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। দুই পক্ষই সভাতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির লোকজন উত্তেজনাপূর্ন কথাবার্তা বলছিল।তারপরই উত্তেজনা তৈরি হয় এবং শুরু হয় হাতাহাতি।ওই এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের দু তিনটি দোকান ভাঙচুর করে লুপাট করে বিজেপি কর্মীরা এবং তৃণমূল সমর্থক একজনের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়।আর এরপর চলে বাসে ভাঙচুর। তৃণমূলের কর্মীরা বাসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।এরপরই দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বড়শোল মোড়ে।ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রামে ফিরছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল নেতা দীপক হাঁসদা।তাকে রাস্তার মোড়ে পেয়ে বিজেপির লোকজন বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয় মানুষদের চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করা হয়।এরপর তার বাইকটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া দেয় বিজেপির লোকজন।এমনই অভিযোগ ব্লক তৃণূল নেতৃত্বের।পরপর এই ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজানা ছড়ায়।বিজেপির অভিযোগ এদিন নয়াগ্রাম ব্লকের খড়কামাথানিতে বিজেপির সভায় আসা গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল।ছুড়ি দিয়ে তাদের কর্মীর ঠোঁট কেটে দেওয়া হয়।জামবনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিশিথ মাহাতো বলেন “ বিজেপি কোন প্ররোচনা ছাড়াই আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমন করেছে।দোকানে লুটপাট চালিয়েছে।বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের অঞ্চল নেতা দীপক হাঁসদাকে ব্যাপক মারধর করেছে।আমরা পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানাবো।বিজেপি বিভিন্ন জায়গাতে পরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে”।অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথি বলেন “ তৃণমূল আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমন করেছে।ছুড়ি দিয়ে মেরে ঠোঁট কেটে দিয়েছে।গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই প্রতিরোধ হয়েছে।তাতে বাইকে আগুন লাগতে পারে।আমাদের দুজন কর্মী গুরুতর আহত।একজন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।আরেক জনকে ভুবনেশ্বর পাঠানো হয়েছে।’