চুপেচাপে কমল ছাপ, বুথে বুথে তৃণমূল সাফ। স্লোগান তুললেন নরেন্দ্র মোদী।

ভোট আসলেই স্বদেশ প্রেম প্রীতি জেগে ওঠে। তাই এবার ও জেগে উঠল জঙ্গলমহলে ভোট রাজনীতিতে স্বদেশ প্রেম প্রীতি। নরেন্দ্র মোদী ঝাড়গ্রামে জনসভায় এসে আরেকবার জাগিয়ে দিলেন স্বদেশ প্রেমের ভাব। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কে সামনে এনে সেই রাজনীতির সূচনা করে গেলেন জঙ্গলমহলের ভোট লড়াইএ। দেশের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র আত্মত্যাগ। নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনী, সেই আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস । গণতন্ত্র দিবসের দিন আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনা বাহিনীদের সামনের সারিতে নিয়ে আসা এসব নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাজনীতির বুলি কপচালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম এর নির্বাচনী সভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধুনা করতে গিয়ে সারাক্ষণ দিদি দিদি দিদি শব্দে মাতিয়ে তুললেন গোটা মঞ্চ। এদিন সোমবার ঝাড়্গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা স্টেডিয়াম মাঠে এক জন সভায় যোগ দিতে এসে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এদিন উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, রেশনের বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্রের, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের, কৃষকদের অনুদান কেন্দ্রের, সমস্ত কিছুই কেন্দ্রের বলে তিনি অভিমত পোষণ করেন। তার অভিযোগ বাংলায় দিদির এজেন্টরা তোলাবাজি করছে। জয় শ্রী রাম এর নাম শুনলে যারা ক্ষেপে যাচ্ছে তাদের তোলাবাজি তে আজকে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বাংলায় গুন্ডা তন্ত্র চলছে। তোলাবাজি তুলছে দিদির এজেন্টরা। এগুলো কিসের বদলা নিচ্ছেন। কৃষকেরা কি পাপ করেছে। দিদি কি সেই পাপের বদলা নিচ্ছেন। নির্বাচনে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বাংলায় সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে। দিদির এজেন্টরা হত্যা করছে, অত্যাচার করছে সাধারণ মানুষকে। মিথ্যে মামলায় জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছে। দিদির চমকি ধমকি বাংলায় চলবে না। চলবে জনতার রায়‌, ভোট দেওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। দিদি দিল্লি পাড়ি দিতে যে স্বপ্ন দেখছেন তা মাটিতে মিশে যাবে। শুধু মোদিকে গালি দিচ্ছেন। চাকরি নেই কিন্তু গুন্ডাগিরি চলছে। আর দিদি শুধু ভয় পাচ্ছেন জনতাকে। আদিবাসী বনবাসী দের অধিকার দিদি ছিনিয়ে নিতে পারবে না। কোন রকম ভয় দেখিয়ে তৃণমূল, বামেরা সে অধিকার কে ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আজ বাংলায় গুন্ডা তন্ত্র চলছে। দিদি, বাংলার গরিবেরা কি আপনার দুশমন হয়ে গেল। এদিনের জনসভায় নরেন্দ্র মোদী স্লোগান তোলেন চুপেচাপে কমল ছাপ, বুথে বুথে তৃণমূল সাফ। তিনি আরও জানিয়ে দেন, ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এবং সাধারণ মানুষের উন্নয়নে চৌকিদার হয়ে তিনি রয়েছেন । তাই চৌকিদারকে নিয়ে আসতে গেলে শুধুমাত্র ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। রাজনীতি গত ভাবে সেভাবে কোনরকম উচ্চবাচ্য না করলেও তৃণমূল কংগ্রেস যে বাংলায় বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিনের জন সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা মুকুল রায়, বিজেপির ঝাড়্গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কুনার হেম্ব্রম, বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী সহ একাধিক বিজেপির নেতা কর্মীরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন