নিজস্ব সংবাদদাতা: আশঙ্কার কথা অনেক দিন আগেই শুনিয়ে দিয়েছিল দিল্লির মৌসম ভবন। তারপরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র-রাজ্য সবপক্ষই। সর্তকতা নিতে আগে থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা। সময়ের খানিকটা আগেই শুক্রবার সকালে শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশার ওপর আছড়ে পরে ঘূর্নীঝড় ফণি।গোটা রাজ্যে তান্ডব চালিয়ে বর্তমানে বাংলার দিকে এগোচ্ছে ফণি।ক্রমশই সে তার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে।প্রহর গুনছে বাংলা। প্রস্তুত প্রশাসন। কিন্তু আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গিয়েছে, বাংলায় ফণি তার দাপট দেখিয়ে চলে যাবে বাংলাদেশের দিকে। এদিকে, বাংলাদেশের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ফণি। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার।ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনা-সহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিকে রংপুর, খুলনা, পটুয়াখালি, ভোলা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট সহ মোট ১৯টি জেলার কৃষকদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছে করা করেছে কৃষি তথ্য সার্ভিস। যেসব এলাকায় বা জমির বোরোধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে সেগুলো দ্রুত কেটে ফেলতে বলা হয়েছে। কারণ ফণীর প্রভাবে এসব এলাকায় তীব্র বেগে বাতাস ও টানা চারদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, ফণীর ছোবল থেকে বাঁচতে ঈশ্বরই ভরসা! তাই দেশজুড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আবেদন জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সেদেশের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, লন্ডন সফর থেকে এই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷