নিজস্ব প্রতিনিধি : তৃণমূলকে চিটফান্ডের টাকায় তৈরি রাজনৈতিক দল বলে কটাক্ষের সুরে তুলোধনা করল সিপিএমের বিদায়ী সাংসদ মহম্মদ সেলিম। এদিন বৃহস্পতিবার জামবনি ব্লকের পড়িহাটিতে একটি পথসভা তে ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের হয়ে প্রচারে এসে এইভাবেই কেন্দ্রে মোদী এবং এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমন করেন সেলিম । এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএমের পক্ষ থেকে জামবনি ব্লকের পড়িহাটিতে প্রথমে একটি সম্প্রীতি পদযাত্রা হয়।ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএমের সম্পাদক পুলিনবিবারী বাস্কের নেতৃত্বে পদযাত্রায় পর পড়িহাটি বাজার মোড়ে একটি পথসভা হয়।এই পথসভার প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিএমের বিদায়ী সংসদ মহম্মদ সেলিম।ছিলেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব মধুজা সেন রায় সহ ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএমের নেতৃত্ব। এদিন ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনের সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের হয়ে প্রচার সভা থাকলেও প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না।জামবনি ব্লকের পড়িহাটির এই সংখ্যালঘু এলাকায় সিপিএমের রাজ্য নেতা মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য শোনার জন্য বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন “ চিট ফান্ডের টাকায় রাজনৈতিক দল তৈরি করেছে যারা তারা চিটিংবাজি করেছে। গরীব মানুষের অবস্থা খারাপ হয়েছে।গুজব করে খুন করা হচ্ছে।

লুটের টাকা খুলে দিয়ে ভোটের সময় কপ্টার,খাবার,গায়ক,অভিনেতা,মদ,মাংস।ভাগারের মাংস হলেও চলবে।ভোট শেষ।খেল খতম পয়সা হজম।প্রধান মন্ত্রী , মুখ্যমন্ত্রী , গায়ক , নায়কদের দেখা যাবে না। তখন খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা আরও বাড়বে । দিল্লীতে মোদী লুট করছে।রাজ্যে দিদি লুট করছে।সামনে কুকুর বেড়ালের মতো ঝগড়া করছে।মানুষের জন্য কি করছে ? রান্নাঘরে ঢুকে পড়ছে। কে কি খাচ্ছে তা দেখার এক্তিয়ার রাষ্টপতি , প্রধানমন্ত্রী , মুখ্যমন্ত্রী কারোও নেই । ৩৪ বছর যখন লালঝান্ডা ছিল তখন হিন্দু,মুসলমান নিয়ে কোন সমস্যা ছিলনা । কথা বলতে হয়নি।ভোটের সময় যখন ধর্মকে টেনে আনা হয় তখন মানুষকে ভাগ করার জন্য।মোদী হিন্দিতে বেকুব বানাচ্ছে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বোকা বানাচ্ছে।”

এছাড়া আরো বলেন “আমাদের রাজ্যে বিজেপি কি ছিল ? কোথা থেকে এল ? তৃণমূলের হাত ধরে বিজেপিকে নিয়ে এসেছে।কোকিল নিজের বাসা বানায় না। কাকের বাসের ডিম পাড়ে।কাক তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় তারপর কুহুকুহু করে কোকিলের দলে চলে যায়। এই রকমই আরএসএস তৃণমূলের বাসায় ডিম পেড়েছিল।মমতা , মুকুল তা দিয়ে ডিম ফুটিয়েছে।এখন বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছে।বাজারে যেমন একটা বালতি কিনলে মগ ফ্রি । তেমন যারা তৃণমূলকে নিয়েছে তারা বিজেপিতে ফ্রিতে গিয়েছে। মুকুল রায় তৃণমূলের হয়ে কেনাবেচা করত।আগে মমতার সিম বিক্রি করত।এখন বেশি কমিশন , এখন মোদী সিম।”।
যদিও এর আগে বেলপাহাড়িতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী বৃন্দা কারাতের সভাটি হয়েছিল কার্যত ফাঁকা মাঠে।তবে এদিন পড়িহাটিতে যথেষ্ট মানুষ ভীড় জমিয়ে ছিলেন সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য শোনার জন্য।এদিন এভাবেই একই সাথে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পলিট ব্যুরো সদস্য , বিদায়ী সাংসদ মহম্মদ সেলিম।