নিজস্ব সংবাদদাতা: একসময় বাইজ গজে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন।একসময় প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানও ভেলকি খেয়েছে তাঁর বোলিংয়ের কাছে। কিন্তু আজ তিনি রাজনীতির ময়দানে।শুধু রাজনীতি বললে ভুল হবে আজ তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।ইমরান খান। পুলওয়ামা হল। বালাকোট হল। ভারতীয় বায়ুসেনা নামিয়ে দিল পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬। দু’দেশের মধ্যে চলল চাপানউতর।বাদ যায় নি রাষ্ট্রনেতাদের হুমকি, পাল্টা হুমকি। আর ভারতে লোকসভা ভোটের আগের দিন তাঁর সেই বিখ্যাত রিভার্স সুইংটি দিয়ে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতে ভোট শুরুর আগের দিন তিনি নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দল বিজেপিকেই নম্বর দিয়ে দিলেন। তাঁর কথায়, “শান্তির স্বার্থে।”
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান বললেন, “নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দল জিতলে কাশ্মীর ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে ফের শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা আর তা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”বেশ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছিলেন ইমরান খান। পাক প্রধানমন্ত্রী তখনই বলে ফেলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার ফের ক্ষমতায় আসলে দুই দেশের শান্তির পথ খুলবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারের জয় কামনা করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কাশ্মীর সমস্যার সমধানে বিজেপি সরকারের ফের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। তিনি এও দাবি করেন, কংগ্রেস সরকার ফিরলে কাশ্মীর ইস্যু আরও স্পর্শকাতর হয়ে যেতে পারে।পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি-দমনের প্রক্রিয়া তাঁর সরকার অব্যহত রাখবে। এক্ষেত্রে পাক সেনার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে তাঁর সরকার। ভারতের বিদেশমন্ত্রক বা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় অবশ্য সরকারি ভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারের জবাব দেয়নি। তবে নয়াদিল্লির কূটনীতিকদের একাংশ ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর ঘরোয়া রাজনীতিতে বিরোধীরা মোদীকে যতই সমালোচনা করুন, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল করতে মোদী সরকার গোড়া থেকে সচেষ্ট ছিল।