যোগীরাজ্যে এবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল বাঁদরকে।

পাকিস্তানের গাধার জুয়াখেলার খবরের রেশ এখনও টাটকা। কয়েকদিন আগেই সেখানে জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল একটি গাধাকে। পুলিশের অভিযোগ ছিল, সেও জুয়াখোরদের একজন। তা নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসাহাসিও কম হয়নি। আর এবার শিরোনামে যোগিরাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সেখানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল একটি বাঁদরকে।
কানপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, কালুয়া নামের ওই বাঁদরটির নিবাস ছিল মির্জাপুর জেলায়। এলাকারই এক তান্ত্রিকের পোষ্য ছিল সে। নাম কালুয়া। সেখানেই প্রায় ২৫০ জনের ওপর হামলা চালিয়েছে সে। যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তান্ত্রিকই বাঁদরটিকে প্রতিদিন মদ খাওয়াত। কিছুদিনের মধ্যেই মদে আসক্তি তৈরি হয়ে যায় তার। এরপর ওই তান্ত্রিকের মৃত্যু হলে কালুয়া মদ না পেয়ে রীতিমতো আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। মির্জাপুরের ত্রাস হয়ে ওঠে কালুয়া।

অগত্যা খবর যায় বন দফতরে। বন দফতর ও চিড়িয়াখানার কর্মীরা দীর্ঘদিনের চেষ্টায় কালুয়াকে খাঁচাবন্দি করে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কানপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানকার চিকিৎসক মহম্মদ নাসিরের কথায়, ‘বেশ কয়েক মাস ধরে আলাদা খাঁচায় কালুয়াকে একলা রাখা হয়েছিল। কিন্তু তার আক্রমণাত্মক মনোভাবে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং দিনদিন তা বাড়তে থাকে। প্রায় তিন বছর তাকে চিড়িয়াখানায় রাখার পরও কোনও পরিবর্তন হয়নি।’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কালুয়াকে এখন ছাড়া হলে আবার সে মানুষের উপর আক্রমণ শানাবে। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন