কুয়োয় পড়ল কুমির, বাঁচাতে লড়াই ১৫ যুবকের।

কোথাও খাবারে বাজি ভরে বা ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে হাতি খুন। কোথাও গ্রামবাসীদের উন্মাদ রোষের বলি চিতার অসহায় মৃত্যু। বহু খারাপ খবরের মাঝেও কিছু ভালো নিশ্চয়ই থাকে। এও সেরকমই একটা অন্যরকম খবর। একটা কুমিরকে বাঁচানোর লড়াইয়ে সামিল জনা পনেরো যুবক।
ঘটনাটি গুজরাতের ভাদোদরার ওয়াঘোদিয়ার একটি গ্রামের। সেখানে প্রায় সত্তর ৭০ ফিট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়েছে একটি বিরাট কুমির। আর তাকে বাঁচাতেই লড়াই চালাচ্ছেন জনা পনেরো যুবক। লড়াই পেরিয়ে গিয়েছে তিন দিনেরও বেশি। কিন্তু এখনও ৩.৫ ফুট লম্বা কুমিরটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে হাল ছাড়েননি উদ্ধারকারীরাও। বিশ্ব কুমির দিবসে তাঁদের শপথ, ‘আরও সময় লাগলেও আমরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবই।’
চার দিন আগে রবিবার সেখানকার এক গভীর কুয়োয় পড়ে যায় কুমিরটি। ছোট্ট জায়গায় বন্দি হয়ে সে আপাতত ব্যাঙেদের খেয়েই সে কোনওক্রমে দিন কাটাচ্ছে। যুবকের দল কিন্তু চেষ্টা ছাড়েননি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পর্বতারোহীও রয়েছেন। সেই দক্ষতাকেও কাজে লাগাচ্ছেন তাঁরা।
ওই দলে থাকা এক পশুপ্রেমী হেমন্ত জানিয়েছেন, ‘কয়েকজন গ্রামবাসী দেখেছিলেন যে কুমিরটি হামাগুড়ি দিয়ে কুয়োয় উঠে সেখান থেকে পা পিছলে ভেতরে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আমাদের খবর দেন। আমাদের দল এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে।’
প্রথমদিন কুয়োয় একটি খাঁচা ফেলা হয়েছিল। ভাবা গিয়েছিল, কুমিরটি তাতে উঠলেই তাকে তুলে আনা হবে। তবে সেই প্রচেষ্টা কাজে আসেনি। এরপর দড়ির সঙ্গে নিজেকে বেঁধে কুয়োর ভেতরে নামেন হেমন্ত। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে কুয়োর জল কিছুটা কমিয়ে ফেলি। যাতে কুমিরটাকে ধরার জন্য ভেতরে যেতে পারি। কুয়োয় এত আবর্জনা আর আগাছা যে, ওখানে কুমিরটির দম বন্ধ হয়ে আসবে। আশা করছি শিগগিরই ওকে রক্ষা করতে পারব।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন