রাশিয়ার মস্কোর একটি চিড়িয়াখানায় সেটির মৃত্যু হল স্যাটার্নের। লোকে বলে, এটি নাতসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের পোষা কুমীর ছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটির নাম দিয়েছিল স্যাটার্ন। এই মিসিসিপি কুমীরটির বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। রবিবার সকালে স্যাটার্ন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গিয়েছে বলে জানায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
Interview @TheWeekLive with Editor Rabi Banerjee. Reflected about State of Affairs as also Affairs of State. pic.twitter.com/w3XUW6Bfl5
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 28, 2020
আমেরিকায় জন্ম হয়েছিল স্যাটার্ন—এর। এর পর ১৯৩৬ সালে বার্লিন চিড়িয়াখানাকে সেটি উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে সেই চিড়িয়াখানার উপর ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছিল। চিড়িয়াখানার অন্য পশু—পাখি মারা গেলেও রহস্যজনকভাবে বেঁচে যায় স্যাটার্ন। ব্রিটিশ সেনা জওয়ানরা স্যাটার্নকে খুঁজে পায় প্রায় তিন বছর পর। এরপর স্যাটার্নকে আপন করে নেয় মস্কো চিড়িয়াখানা। গোটা বার্লিন চিড়িয়াখানা যখন ব্যাপক বোমাবৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল, তখন স্যাটার্ন কী করে বাঁচল! তা রহস্যই থেকে গেছে। মস্কো চিড়িয়াকানায় হিটলারের পোষা এই কুমীরটিকে দেখতে প্রচুর ভিড় জমত। বার্লিন থেকে যখন স্যাটার্নকে মস্কো চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন তার বয়স ছিল ১০ বছর। গত ৭৪ বছর ধরে সেখানেই ছিল স্যাটার্ন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্যাটার্নের মৃত্যুতে মন খারাপ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি স্যাটার্নের পরিচর্যা করত তাঁকে ভালভাবে চিনত সে। রাগ হলে স্টিলের চামচ বা কংক্রিটের দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার মতো শক্তি ছিল এটির। মিসিসিপি কুমীর সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বাঁচে। কিন্তু স্যাটার্ন ছিল বিরল। সার্বিয়ার বেলগ্রেড চিড়িয়াখানায় আরেকটি কুমীর রয়েছে যাঁর বয়স ৮০ বছর। স্যাটার্ন তার থেকেও বয়সে বড় ছিল। মস্কোর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্বীকার করে না যে স্যাটার্ন হিটলারের পোষা কুমীর ছিল।