করোনা আাবহে দেশজোড়া লকডাউন আর সঙ্গী আতঙ্ক। এমন অবস্থাতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল আসানসোলের জামুড়িয়া থানার চারুলিয়া এলাকা। কয়েকদিন আগেই এই এলাকায় একটি কোয়ারানটিন সেন্টার খোলা হয়। সেই সেন্টারটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে বেধে গেল খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনার জেরে থানার ওসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। জনতার রোষে পা ভেঙেছে জামুড়িয়া থানার ওসি সুব্রত ঘোষের।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। আসানসোলের স্থানীয় প্রশাসন একটি যুব আবাসে কোয়ারানটিন সেন্টার করার পরিকল্পনা করেছিল কয়েকদিন আগেই। সেই অনুযায়ী এদিন সকালে ১৪জনকে কোয়ারানটিন করে রাখার জন্য ওই আবাসে নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। এতেই তীব্র আপত্তি জানায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, এই সেন্টার থেকেই গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মহামারীর আকার ধারণ করবে। পরে পুলিশকর্মীরা বোঝাতে গেলে প্রথমে বচসা, ও তারপরে উত্তেজিত হয়ে জনতা ইট, রড, পাথর তো বটেই, গুলি-বোমা ছোঁড়ে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর চালায় গ্রামের বাসিন্দারা। অশান্তির আঁচ রয়েছে এখনও। ওই এলাকায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জামুড়িয়ার চারুলিয়া। জনতা-পুলিশের এই খণ্ডযুদ্ধে সরকারি কর্মী, আধিকারিক-সহ আহত হয়েছেন বহু। আহত হয়েছেন সাংবাদিকরাও। সকলকেই জামুড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভয়ংকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়। ঘটনাস্থলে জখম পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে চিকিত্সার ব্যবস্থা করেন তিনি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার রাত থেকে কোয়ারান্টিন সেন্টার নিয়ে আপত্তির জেরে উত্তাল আসানসোলের রূপনারায়ণপুরও। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে গ্রামবাসীরা। সেখানেও পুলিশ গেলে পুলিশকে বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।