লকডাউনের জেরে সৎকারের জন্য কাঁধ দিয়ে চার মেয়ে শশ্মানে নিয়ে গেলেন বাবাকে।

মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেলো আলিগড়ে। এক ব্যক্তি যক্ষা রোগে মারা যাওয়ার পর, সৎকারের জন্য এগিয়ে এল না কেউ। কাধ দিয়ে চার মেয়ে শশ্মানে নিয়ে গেলেন বাবাকে। সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এজন্য সরকারি হাসপাতালে ওষুধের যোগান কম। আর সঠিক সময়ে ওষুধ না মেলায় যক্ষা রোগে মারা গেলেন এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর বছর ৪৫ এর সঞ্জয় কুমার বেশ কিছুদিন ধরেই যক্ষা রোগে ভুগছিলেন। তিনি পেশায় চা বিক্রেতা ছিলেন। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনে নিজের রোগের চিকিৎসা করছিলেন তিনি। কিন্তু লকডাউন চলতে থাকায় ওষুধের অভাবে আর শেষ রক্ষা হলো না। জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালে ওষুধের জোগান মেলেনি। আর সঞ্জয় কুমার এর পক্ষে ওষুধ কিনে খাওয়া সম্ভব ছিল না। এই অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জয় কুমার। কিন্তু তাঁর মারা যাওয়ার পর, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের কারণে সৎকারের কাজে কেউ এগিয়ে আসেনি। শেষে কোন উপায়ন্তর না দেখে, তার চার মেয়েই বাবার দেহ কাঁধ দিয়ে শ্মশানে নিয়ে যায়, সেখানেই শেষকৃত্য হয় তাঁর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন