মাতৃবন্দনায় নাছোড় দুই করোনা সৈনিক হলেন আসরফ আর ইমরান ।

করোনা মোকাবিলায় সারা দেশ যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন মধ্যপ্রদেশের দুই স্বাস্থ্য কর্মী অনন্য নজির গড়লেন। এমনই একজন নাছোড় করোনা-সৈনিক হলেন ভোপালের স্বাস্থ্যকর্মী আশরফ আলি। ভোপাল পুরসভার স্যনিটেশনের দায়িত্বে থাকা আশরফ একদিন কাজ করতে করতেই নিজের মায়ের মৃত্যু সংবাদ পান। সেই মুহূর্তে সব ছেড়ে বাড়ি চলে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তা বুঝে সেই ‘স্বাভাবিক’ কাজটা করেননি আশরাফ। নিজের কাজ সম্পূর্ণ শেষ করে তবে বিকেলে গোরস্থানে যান তিনি। এসম্পর্কে আশরফকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘কারোর কাছেই মায়ের চেয়ে বেশি কিছু হয় না। আর তার পরেই আসে মাতৃভূমি। মাতৃভূমির এই বিপদে সবাইকেই কিছু না কিছু আত্মত্যাগ তো করতেই হবে।’ আর একজন হলেন ভোপাল পুরসভারই আরও এক কর্মী ইরফান খান। গুরুতর দুর্ঘটনায় সোমবার তাঁর ডান হাত এবং কলার বোন ভেঙে যায়। বাড়িতে বিশ্রামে থাকার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ উপেক্ষা করেই কাজে আসছেন তিনি। ব্যক্তিগত চোট-আঘাত নিয়ে এটা মাথা ঘামাবার সময় নয় বলে জানিয়েছেন ইরফান।আর এরা আছে বলেই হয়ত করোনা জয় সম্ভব হবে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন