আমার সকাল : ইরানের বাগদাদ এয়ারপোর্টে মার্কিন বিমানহানা, মৃত সেনাপ্রধান-সহ নিহত অন্তত ৮

নিজস্ব প্রতিনিধি : মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলায় মৃত্যু হল ইরানি কুদস ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের সেনাপ্রধান কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জনের। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। বাগদাদ বিমানবন্দরের সামনেই রকেট হামলায় মৃত্যু হয় কাসেমের৷ এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে আধাসেনার এক উচ্চপদস্থ অফিসার আবু মেহদি আল-মুহানদিস এবং বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদার। আর তারপরই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আমেরিকার পতাকা পোস্ট করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে পেন্টাগনের তরফে সরকারি বিবৃতি দিয়ে এই হামলার কথা স্বীকারও করা হয়।

দুই মার্কিন কর্মকর্তা এক বেসরকারি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনা মাফিকই এই হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে ৪ টি রকেট ছোঁড়ে। মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে বাগদাদ বিমানবন্দরে মোতায়েন হাশদ আশ-শাবির দু’টি গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। এর ফলে ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান কমান্ডার কাশেম সোলেমানি, PMF-এর ডেপুটি কমান্ডার আবু মেহদি আল-মুহানদিস ও বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা-সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

https://twitter.com/realDonaldTrump/status/1212924762827046918?s=20

ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর এক আধিকারিক জানান, ইরান থেকে কিছু শীর্ষকর্তার ইরাকে আসার কথা ছিল এ দিন। সেই কারণেই বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন ছিল সেনা। সেই কারণে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন শীর্ষস্থানীয় প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা। তিনি যখন ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান সুলেমানি ও মুহানদিসকে নিয়ে বিমানবন্দরে থেকে বের হচ্ছিলেন তখন কার্গো হলের কাছে তিনটি রকেট এসে পড়ে। এর ফলে ঘটনাস্থলে থাকা সবার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা সকলের মৃত্যু হয়। দেহগুলি এমন ভাবে পুড়ে যায় যে চেনা যাচ্ছে না।

গত ২৯ ডিসেম্বর বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে হামলা হয়। এরপরই এই ঘটনার জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে হুমকি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন