নিজস্ব সংবাদদাতা: জুলাইয়ের মাঝামাঝি পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালতে জামিন পেয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদ। কিন্তু বুধবার পাকিস্তানের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গুজরানওয়ালা থেকে লাহোর যাওয়ার পথে তিনি গ্রেফতার হন। আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আন্তর্জাতিক চাপেই হাফিজ মহম্মদ সইদকে ইমরান খানের সরকার গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স নামে এক আন্তর্জাতিক সংস্থা কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের ওপরে চাপ দিচ্ছে যাতে তারা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
উল্লেখ্য রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সইদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি বলে ঘোষণার পর থেকেই চাপ বাড়ছিল পাকিস্তানের ওপরে। পাক সংবাদমাধ্যমের খবর, ওই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন সইদ।পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে টাকা জোগান দেওয়ার ব্যাপারে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল ইমরান খানের ওপরে। স্বাভাবিকভাবে এক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি কোনও দেশ।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গিদের টাকা জোগানোর অভিযোগ ওঠে সইদ ও তার ১২ সঙ্গীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ২৩টি মামলা রয়েছে। এত অভিযোগ থাকলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পাক পুলিস। কারণ আদালতে তার বিরুদ্ধে কোনও কিছুই প্রমাণ করা যায়নি।পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাঁচটি ট্রাস্টের মাধ্যমে হাফিজ সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। সেই অর্থ পায় মূলত লস্কর ই তৈবা নামের জঙ্গি সংগঠনটি। তারা ২০০৮ সালে মুম্বই শহরে বড় ধরনের হামলা করে। ১০ জন বন্দুকধারী শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুলি চালায়। ১৬৫ জন নিহত হন।বলা যায় ভারতের সেই ভয়াবহ মুম্বাই হামলার মূলচক্রী ছিল এই হাফিজই।