বিপদের দিনে পাশে থাকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবান দিলেন সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান। কারণ এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক রং এর উর্ধে মানবিকতা তা আরও একবার প্রমাণিত হল। যেহেতু করোনা মোকাবিলায় সারা দেশে লকডাউন চলছে, তাই ভেলোরে ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে বিপাকে পড়েন পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান। কারণ এই সিপিএম বিধায়ক এর ভাইয়ের দেহ ভেলোর থেকে রাজ্যে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না, যদি না সব রকম সাহায্য মিলত রাজ্য প্রশাসনের তরফে। ঘটনার সুত্রপাত গত ১৭ মার্চ। ওইদিন জাহানারা তার ভাই আমজাদকে নিয়ে ভেলোর যান। আর সেখানেই জানতে পারেন আমজাদের পায়ে ক্যানসার হয়েছে। এরপর আমজাদের পায়ে অস্ত্রপোচার করা হয়।
যাতে দুবেলা কমপক্ষে অন্নের যোগান টা হয়, সৌরভ সেজন্য ২ হাজার কেজি চাল দিলেন বেলুরমঠে ।
কিন্তু গত ২৮ তারিখ রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে দেশ জুড়ে লকডাউন চলায় আমজাদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ছিল না। এরপর সুজন চক্রবর্তীর নির্দেশে জাহানারা কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর গোটা বিষয়টি জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আসানসোল পুলিশ কমিশনার দায়িত্ব নেন এবং চেন্নাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে, আমজাদের দেহ অ্যাম্বুলেন্স করে রাজ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। এজন্য জাহানারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং প্রশাসনের যেসকল কর্তা ব্যক্তিরা এ বিষয়ে সাহায্য করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। এবিষয়ে আসানসোলের মেয়র জিতেন তিওয়ারি বলেন, “আমজাদের দেহ গ্রামেই মাটি দিতে চেয়েছিল ওঁদের পরিবার। প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করেছে। মানুষ বিপদে। এটাই পাশে দাঁড়ানোর সময়।”