মেয়ে কবে ফিরবে সেই আশা নিয়ে আজও পথ চেয়ে আছেন মাওবাদী স্কোয়াড নেত্রীর জবা মাহাতর মা লুলকি মাহাত।

নিজস্ব প্রতিনিধি :  মেয়ে কবে ফিরবে সেই আশা নিয়ে আজও পথ চেয়ে আছেন মাওবাদী স্কোয়াড নেত্রী জবা মাহাতর মা লুলকি মাহাত। গত প্রায় দশ বছর হয়ে গিয়েছে মেয়ের দেখা মেলেনি। অতি বামপন্থায় আস্থা রেখে বন্দুক হাতে নিয়ে বেড়িয়ে গিয়েছে সে।কিন্তু ফেরার মাওবাদী নেত্রীর মা এবং পরিবার আজও বিশ্বাস করে এক দিন সে ফিরবেই। গনতন্ত্রের প্রতি আস্থা রেখে এই পরিবার ভোট দিয়ে চলেছেন। মাওবাদী স্কোয়াড নেত্রী জবা মাহাতো আজও ফেরার।পরিবার চাইছে সে ফিরে আসুক আর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করুক।বেলপাহাড়ি জামিরডিহা গ্রামের বাসিন্দা মাওবাদী নেত্রী জবা মাহাতোর মা লুলকি মাহাতোর বিশ্বাস মেয়ে একদিন ফিরে আসবেই।এদিন লুলকি মাহাতো ওড়লি বুথে ভোট দিয়েছেন।ভোট দিতে যাওয়ার আগে লুলকি দেবীর একটাই কথা “পুলিশ যদি মেয়েকে ধরতে পারে তাহলে যেন না মেরে ফেলে।একবার আমার সামনে নিয়ে আসুক।আমি ঠিক মেয়েকে বোঝাবো।”অন্যদিকে এক সময় মাওবাদীদের ঝাড়গ্রামের এরিয়া কমান্ড,আত্মসমর্পনকারী জয়ন্ত ওরফে সাহেবরাম এদিন নিজের গ্রাম জামবনি ব্লকের ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী আমতোলিয়া গ্রামে এসে বুথে নিজের ভোট দিয়েছেন।ভোট দেওয়ার পর নিজের পরিবারের সাথে দেখা করে খানিক গল্প গুজব করেছেন। এক সময় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী এই জয়ন্ত এদিন গনতন্ত্রে বিশ্বাস রেখে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তার বাবা কালিচরণ মুর্মু,মা কারমি সুর্মু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও গ্রামের বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে জয়ন্ত হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছে। প্রায় দশ বছর আগে সাহেবরাম মাওবাদীদের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে ছিল।স্কোয়াডে নাম হয়েছিল জয়ন্ত। আত্মসমর্পণ  করার পর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে এসেছিল ভোট দিতে।তারপর এদিন সে গ্রামে এসেছিল ভোট দিতে।এদিন আমতোলিয়া গ্রামের বাড়িতে জয়ন্তর বৌদি আরতী মুর্মু বলেন “ সাহেবরাম এসেছিল।এদিন খাঁকি প্যান্ট পড়ে এসেছিল।ভোট দিয়েছে।বাড়িতে এসেছিল।বেশ কিছুক্ষন বাড়ির সবার সাথে কথা বার্তা বলে।তারপর চলে যায়।” বেলপাহাড়ির জামিরডিহা গ্রামের বাসিন্দা জবা মাহাতোও বছর দশেক আগে হার্মাদদের অত্যাচার সহ্য করতে না পরে হাতে বন্দুক তুলে নিয়ে ছিল।বেলপাহাড়ি মাওবাদী স্কোয়াড নেতা মদন মাহাতোর হাত ধরে চলে যায়।পরে মদন মাহাতোকে সে বিয়ে করে বলে জানা যায়।জবার মা লুলকি দেবী মেয়েকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।পুলিশ,প্রশাসনের উপর ভরসা রেখে মেয়ে যাতে ফিরে আসে তার জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।তার কথায়“ মেয়ে খোঁজার জন্য ঝাড়খন্ড,বিহার কোথায় না খোঁজ করছি।আমি মনে করি মেয়ে নিশ্চয় বেঁচে আছেন।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন