পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও করোনা আবহে সম্ভব হয়নি পুর নির্বাচন। তাই কলকাতা পুরসভায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। প্রশাসক হিসেবে বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হামিককেই দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সংবিধানের ১৬৭ ধারা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্য সরকারের কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাজ্যপাল।
মুখ্যসচিবের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায়, @MamataOfficial এর কাছে কলকাতা পৌরসভার মে 06, 2020 তে জারি করা অর্ডার সম্পর্কে জানতে চেয়েছি।
অনুচ্ছেদ 167 মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রীর “কর্তব্য” রাজ্যপালকে তথ্য সরবরাহ করা।
এই অর্ডারটির গভীর তাৎপর্য আছে।(1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 7, 2020
রাজ্যপাল টুইটে জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে ৬ তারিখের বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু মুখ্যসচিব কোনও উত্তর না দেওয়ায় তিনি এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চান। সংবিধানের ১৬৭ ধারা অনুযায়ী, তাঁকে যেকোনও বিষয় জানানো মুখ্যমন্ত্রীর ‘কর্তব্য’ বলে উল্লেখ করেছেন ধনখড়। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে ওঁকে স্মরণ করার সময় আমার বিশেষভাবে ওঁর জ্ঞানগর্ভ বাণীগুলি মনে পড়ছে।
“চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি”(1/2) pic.twitter.com/lAAr2B5RxP— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 7, 2020
প্রসঙ্গত, আজই শেষ হচ্ছে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কার্যকালের মেয়াদ। আগামীকাল থেকে পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা তাঁর। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৪ সদস্যের প্রশাসক বোর্ড ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। যে বোর্ডের মাথায় রাখা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকেই।
যদিও কলকাতা পুরসভা আইন মোতাবেক প্রশাসক বসানো যায় না। কিন্তু উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট করা সম্ভব না হওয়ায় কলকাতা পুরসভার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে যায়। এরপরই রিমুভ্যাল অফ ডিফিকাল্টিস অ্যাক্ট-এ ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসক হিসেবে চূড়ান্ত করে নবান্ন। এরপরই সরকারের তরফে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।