বিধানসভায় আস্থাভোটে হার কুমারস্বামীর, কর্নাটকে সরকার গড়ার দাবি জানাবে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি : শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। আস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিল কর্ণাটকের কুমারস্বামী সরকার।  মাত্র ১৪ মাসের মধ্যেই কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন হল কর্নাটকে। এ বার নতুন করে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আজ সন্ধ্যা ছ’টায় আস্থা ভোট নেওয়া হবে, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পিকার। সেই মতো আস্থা ভোট হয়। স্পিকার  জানিয়ে দেন, ৯৯ ভোট গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পক্ষে। অন্য দিকে বিজেপির পক্ষে গিয়েছে ১০৫ ভোট। এরপর সরকার গড়ার দাবি জানাবে বিজেপি। ইয়েদুরাপ্পারা অনায়াসেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের। তাহলে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইয়েদুরাপ্পা।

দু’সপ্তাহ আগে কংগ্রেসের ১৩ জন ও জেডিএসের তিন জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার ফলে কর্ণাটকে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। গত রবিবার দুই নির্দল বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, সোমবার বেলা পাঁচটার মধ্যে যেন আস্থাভোট নেওয়া হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ওই আর্জি শুনতে রাজি হয়নি। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর আস্থা ভোট নেওয়া হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্পিকার।

তার মধ্যেই আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। মামলাকারীদের দাবি, কর্নাটকে কুমারস্বামীসরকারের উপর থেকে তাঁরা সমর্থন তুলে নিয়েছেন। কুমারস্বামী সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। তাই আস্থা ভোট নেওয়া জরুরি। কিন্তু নানা টালবাহানা করে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী সেই আস্থা ভোট নিচ্ছেন না।

মঙ্গলবারের শুনানিতেও একই কথা বলার পাশাপাশি কর্নাটক প্রজ্ঞানবন্ত জনতা পার্টির (কেপিজেপি) বিধায়ক আর শঙ্কর এবং নির্দল বিধায়ক নাগেশ দাবি করেন, ‘‘১২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আস্থা ভোটে যাবেন। কিন্তু এখনও সেই আস্থা ভোট হয়নি।’’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন