নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে এখনও বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হলেন প্রাক্তন মেয়র। আর সবাইকে অবাক করে সব্যসাচীর কাছে সমস্যা জানতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
https://www.facebook.com/1563346653708434/posts/2407627309280360/মেয়রের পর এবার পদত্যাগ করলেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল প্রসেনজিৎ সর্দার
লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের সঙ্গে লুচি-আলুর দম পর্ব নিয়ে সব্যসাচীর সঙ্গে দলের দূরত্বের সূত্রপাত। তারপর থেকে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সব্যসাচী। অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। সিরিয়া, পাকিস্তানের মতো অবস্থা। মেয়রের পদও খুঁইয়েছেন। সেই সব্যসাচীই হাজির হলেন দলের উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক। নাম ধরে ধরে বিধায়কদের কাছ থেকে সমস্যা জানতে চান মমতা। এরপরই সকলকে বিস্মিত করে মমতা বললেন, ‘কী সব্যসাচী, কিছু বলার আছে’।সব্যসাচী: দিদি, দু’টো জিনিস বলার আছে। জেলায় বিভিন্ন দফতরের মধ্যে বোঝাপড়া নেই। আর এখানে
পুকুর ভরাটের একটা সমস্যা আছে। আমরা এই বিষয়ে জেলাশাসককে জানিয়েছিলাম। বারাসতে যশোর রোডের উপরে সরকারি জমিতে বাড়ি হচ্ছে। এটা নিয়ে একটু দেখতে হবে।
মমতা: তুই নিজে কর্পোরেশনে ছিলি। তুই নিজে জানিস। তোদেরও এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। নিজের বিধানসভা এলাকায় কোন সমস্যা থাকলে জানা।
সব্যসাচী: সরি টু ডিস্টার্ব ইউ। রাজারহাট নিউটাউন মৎস্য দফতর মাছ চাষ করে। সেখানে ২৩টা ভেড়ি আর ৪৬টা ঝিল আছে। কিন্তু সেগুলো কাদের তা জানা নেই। এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই। আগের জেলাশাসকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, কোনও রেকর্ড নেই। আমাদের খুব অসুবিধা হয়। এটা দেখতে হবে।
মমতা: থ্যাঙ্ক ইউ, ঠিক আছে।
সভায় উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের এক জনপ্রতিনিধি বলেন, এদিন সত্যি সত্যি দিদিকে টেনশনে ফেলে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। আরও কিছু প্রশ্ন করার আগে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলে তাঁকে থামান। আসলে উনি কী প্রশ্ন করে বসবেন তা নিয়েই ছিল টেনশন। জলাজমি ভরাট নিয়ে মেয়র থাকাকালীনই তাঁর সঙ্গে দলেরই একটি গোষ্ঠীর সংঘাত হয়। সেটা তিনি বারবার প্রকাশ্যে বলেছেন। এদিনও সেই বিষয়টাই সবার সামনে তুলে ধরেন। এটাই রক্ষা যে, মারাত্মক কোনও অভিযোগ করে তিনি দল ও নেত্রীর অস্বস্তি বাড়াননি।